মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১২

বিষণ্ণতার মাঝখানে দেয়াল থাকেনা


বিষণ্ণতার মাঝখানে দেয়াল থাকেনা
বিষণ্ণরা আদিগন্ত, অ-মাপা প্রান্তর পেরিয়ে সীমানা ছাড়িয়ে যায়
বর্ষার আসন্ন জলমগ্নতা কোথায় কোথায় পৌছাতে পারবে
খা খা রোদ্দুর ধু ধু খরায় চৌচির বুকের জমিন; অতলান্ত রুগ্নতায়
জীর্ণ শীর্ণ কঙ্কালসার অস্থি মজ্জায় বিষণ্ণতার মরীচিকা ঝেঁকে বসেছে
হৃদয়ের খিস্তি শীৎকারে দুর্নিবার মাতম বাজে
বৃষালী গোখরোর নির্দয় ছোবালে রক্ত-নীল হারানো লালিমা খোঁজে।
আত্মা থেকে পরমাত্মায় যোজন যোজন দূরত্ব
অগুনতি শর্ত আর ক্ষীণ অবিশ্বাসের বিস্তীর্ণ দেয়াল
চৌদিক থেকে সহস্র চক্ষু প্রশ্নাতীর তাক করে আছে
বিদীর্ণ বুকের চাতালে কড়মড় করে কম্পন তুলে অচিন বেদনা
তাবৎ জঘন্ন্যতা মাথায় নিয়ে আমিও একটি প্রশ্নের তীর ছুঁড়ি
“ নৃশংসতাকে নগ্ন করতে চাও না নগ্নতাকে নৃশংস”?
বাঁচার জন্য বলছিনা
মৃত্যুর বিচ্ছিন্ন হীনম্মন্যতা জানার জন্যই প্রশ্নটি করলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন