সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬

আমি জন্মেছিলাম রাহু যুগের কবি হতে



আমি জন্মেছিলাম মাঘের হাড় কাঁপানো শীতের সন্ধ্যায়
কুয়াশা ঘেরা এক ঝাঁক অতিথি পাখির কিচির মিছির
আর মেঘ সাদৃশ্য বৃক্ষের ডগায় জোনাকির অস্থিরতায়,
শিশির ধোয়া জমিন এর সোঁদা গন্ধ মাখা হিমে
 নীল হয়ে উঠা আমার পীযুষ মুখ; পরম স্নেহে
মাতৃত্বের খোমে পেয়েছিলাম প্রথম আমৃত্যু সুখ।

অতঃপর ধীরে ধীরে গভীর রাতের সাক্ষাত
নৈশব্দের জঠরে স্পন্দিত পৃথিবীর ঈষৎ দীর্ঘশ্বাস!
ধ্যান মগ্ন ঋষির নির্লিপ্ত সচেতনতা, নিকষ অন্ধকার,
চাপা কান্নার মত বিলাপ করা বৃক্ষের পাতা, ধাবমান রুহ্‌ ধ্বনি
একে একে চিনতে থাকি মর্মগাঁথা সৃষ্টি; জগত সংসার।
অগণিত চোখের দৃষ্টি রেখা মাপতে মাপতে অদম্য এক স্রোতে
প্রবেশ করি বৃত্তাকার জীবন গহ্বরে ……

অথচ আমি জন্মেছিলাম রাহু যুগের কবি হতে
ভ্রহ্মাণ্ডের গোপন কারাগারে বন্দি দশা হতে
আজন্ম শব্দ গুলো মুক্ত করতে;  পাখীদের ঠোঁটে
কিংবা কোন বাউলের গানে-
যেই শব্দ, যেই সুর,ধ্বনিত হয়নি আজো!

আমি জন্মেছিলাম ছিলাম সেই নদীর স্রোত হতে
কৃষ্ণচূড়ার মতো মদিরা হতে হতে যেই নদী
হারিয়েছিলো তার অধরা যৌবন;
মিথ পোড়া দহনে নিজেকে জ্বালিয়ে
এসেছিলাম আমি,  জাগাতে সেই নাড়িস্পন্দন!

দাউদুল ইসলাম।
২৬/১/১৬