শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১২

দেবী ও কবি ৪


তোমাকে ভুলিনি কবি
তোমাকে ভুলিনি … মনে এসেছিলে একটু অবসরেই ..
আমি দীপাবলির আলোয় যে মুখ তোমার দেখেছি সেখানে আমি অনেক বেমানান ছিলাম দেব ,
আমি তোমার অঞ্জলি ভরা সুধায় ডুবেছি কিন্তু তুমি তো জানো না দেব
তোমাদের জলসায় দক্ষিণা দিও ,দিও তোমার একাকীত্ব , আমি নেব ।
দিও দুঃখ , আমি নেব ।
দিও শোক তাপ ক্ষয় মৃত্যু … আমি নেব । কেবল ভালবাসতে বল না … ভালবেসো না দেব ,
আমি নিতে পারব না ………
আমাকে একটু ছোঁবে দেব!
কপাল ! চোখ ! ঠোঁট ! উফফফ…… কেন তুমি এলে ???
কেন এলে ধ্বংসের কাছে … আমি কি বাঁচতে চেয়েছি বল !
পৃথিবীর জনস্রোতে আমি তোমার ঠোঁট কামড়ে
ধরে নিজেকে আটকে রাখি ;
তোমার কাছে …সব দায় ! সব ঋণ তোমার কাছে …
-এমন কেন বলছো দেবী?
কেন ভারী করছো আমার পাপ!
নিষ্পাপ সকালের কাছে আমি তোমার নামে উৎসর্গ করি রাত্রের ফোটা বকুল
আমূল সমর্পণে তোমাতেই সপে দিই জীবন কূলের সমস্ত সত্ত্বা
আমি তোমার পূজারী দেবী হে-
আমি তোমার চরন পূজি
-মরেছ !!! দেব
আমি ত সেই কবেই মরেছি , তোমাদের এই সংসার আমার কাছে কেবলই অতীত
হাহাহা
-ঠাট্টা করছো?
-উম তা একটু করতেই পারি
তুমি যে গোঁসাই আমার
-তুমি আমার পূজা
আমার দেবী
-আজ উতলা লাগে … অনেক
নিজকে বাধি
কিন্তু কত বার টুটে গেলো সেই বন্ধন!
প্রতিবারই কিছু না কিছু অন্তঃনিহিত রহস্য
উন্মোচন করে বুকের কপাট…
বিধির বিধান !
ফের স্বপ্ন দেখা, রঙের তুলি হাতে ফের আঁকিবুঁকি
লাল নীল সাদা কালো রঙের বুকে রঙ
জানো! তবুও হয়না কিছুই
ধুলো জমা আয়নার মত বিদীর্ণ পড়ে থাকে চাওয়া পাওয়ার ক্যানভাস!
- দেবী দেখো জ্যোৎস্না ভরাট নদী
চলো পা ডুবিয়ে হাঁটি
-তবে মানছো আমি রুক্ষ,জীর্ণ
- না দেবী তা নয়; আমি কেবল শীতলতা স্পর্শের
আহ্বান করেছি
-হুম। কি জানি হবে হয়তো…।