বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

রোজকার বিভীষিকা


রোজকার বিভীষিকা

আত্ম বিরোধী চেতনা নিয়ে আর কত লড়বে তুমি?
আর কত পুড়বে আপন ঘরানার আগুনে! বুকে ভেতর বধ্য ভূমি,
জীর্ণ হাড় গোড় আর অগণিত শিশুর বিদেহী আত্মার যৌথ চিৎকার;
এই বিভীষিকার রোজকার মহড়ায় কত আর সইবে লাঞ্ছনার শিকার!
আমি যেমন জানি
তেমনি তুমিও জানো-
স্ব-বিরোধী দম্ভে দিনে দিনে নিজেকে ঠেলে দিচ্ছো অসম্ভবের কূপে!
এ-কি কেবল আমাকে রুখে দিতে?
না কি, আজন্ম ভয় তোমাকে দিচ্ছেনা সত্যের মুখোমুখি হতে?
কিন্তু; এমনি করে ভয়ের ঘোরে ছুটতে ছুটতে এক দিন থমকে যাবে চরণ
নিশ্বাস ফুরিয়ে মরণের ভেলা ছড়ে ভেসে যাবে জীবনের সমস্ত আয়োজন।
সে দিন কি হবে? 
কি হবে অবিশ্বাসের স্ব বিরোধী এই দম্ভে! আমার থেকে দূরে রাখতে গিয়ে
আজন্ম কাল ধরে জিইয়ে রাখা নিভৃত প্রেম ; অচ্যুত আর নির্ভার রয়ে যাবে।
রয়ে যাবে আমূল অন্তর তৃষ্ণা, স্বপ্ন সম্ভার!

যারা তোমার চৌহদ্দি ঘিরে রুদ্ধ করে আছে শীতল বাতাসের পথ
তুমি কি ভুলে গেছ- তাদের অনিষ্ট শপথ!
আমাদের আড়ষ্ট শিল্পের শ্লথ চরণে, যারা বেঁধেছে অহমতাড়িত শিকল;
নকল রঙে নকল ঢঙে বদলাচ্ছে নিত্যকার মুখোশ!
আমি একটুও অবাক হইনি, -
আমাকে হার মানাতে শেষতক তাদের সাথে যখন করেছিলে আপোষ!

চেতনাগত অভ্যাস মতে, চলছি আমি অবিরাম আমার পথে
দায় এড়াতে গা ঢাকা দিই নি কখনো-
উত্তপ্ত দুপুরে তপ্ত রোদ্দুরে প্রতীক্ষমাণ থেকে থেকে পুড়িয়েছি নিজেকে
বিগলিত চিত্তে ভেসেছি ঘামের স্রোতে; রক্তে বেড়েছে টগবগে উত্তেজনা
এতো লাঞ্ছনা - এতো অবজ্ঞা, তবুও অন্তরে জাগতে দিইনি এক ফোটা ঘৃণা!

দা উ দু ল ই স লা ম ।