বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫

রাত্রি নাই

রাত্রি নাই

অনন্ত কাল ধরে আমি সন্ধান করছি একটি রাত্রির।
 সভ্যতার অভিজাত বাসিন্দারা যার ধার ধারে না
দিন বিগত সন্ধ্যার আগমনে যেখানে নিমগ্ন ব্যস্ততা নামে
জমকালো জলসায় , মিথ্যার কটকটে রঙ ঢং, হাস পরিহাস
সেখানে রাত্রি নামার সুযোগ কোথায়?

রাত্রি  চায় , তার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।
মানুষের আত্মা, চিন্তার নিমজ্জিত ভাবার্থ, আর সমগ্র সাধনা
রাত্রি সহ্য করেনা কোন সপত্নী;
যাবত কালের সমগ্র দাবী উপেক্ষা করে
জীবনের সুপ্ত- দীপ্ত সমস্ত কামনা বাসনায় একাকার হতে
বহুকাল ধরে বিশ্বাসের গভীরতায় জপ করে চলেছি সেই রাত্রির তপস্যায়...।।

জীবনের নিবিড় কোঠরে কষ্টের অগণিত জখম,
প্রাণের স্পন্দনে দুঃখী শব্দাবলীর অথই হাহাকার;
উত্তপ্ত দিনের প্রখর রোদ্দুরে বরফের মত বিগলিত হতে হতে
কিংবা ঝড়োন্মাদ প্রলয়ের ঘাত প্রতিঘাত বুকে ধারণ করে
প্রতিদিনের অতৃপ্তি, অনিশ্চয়তা আগলে নিই স্বাচ্ছন্দ্যে।

প্রতি বারই মনে হয় জ্যোৎস্নার সোনালী সিম্ফনিতে এই বুঝি এলো সে,
অভিমানী রাত্রি বার বার মুখ ঘুরিয়ে নেয়, নাকি লুকিয়ে যায়?
নিজের অস্তিত্বে লেগে থাকা সম্ভোগ চিহ্ন আড়াল করতে!
জানি না-
এত সব হিসেব নিকেশের প্রশ্ন-আমার কোনদিন জাগেনি
আমি কেবল মন প্রাণ উজাড় করে খুঁজেছি সেই প্রগাঢ় রাত্রি।

নীল স্রোত আর জ্যোৎস্নার ধ্রুপদী নৃত্যের সমস্ত পবিত্রতা খর্ব করে
বেজে উঠে ঠুমরীর গর্জন;
রাত্রি নাই!
মন্থন শেষে ভয়ংকর ঘূর্ণিতে পাক খেতে খেতে নিঃশেষ জীবন যৌবন।

দা উ দু ল  ই স লাম।
৫/৮/১৫