সাঁই তুমি জ্যোৎস্না বৃষ্টি ভালোবাসো
কি পাও জ্যোৎস্নায়?
নাকি বৃষ্টির আড়ালে লুকাতে যাও গোপন অশ্রু
-কি জানি হবে হয়তো
-আমার গোপন নাই কিছুই
আমি অভিনয় জানিনে সাঁই।
-দেবী এমন বলছো কেন?
আমি জানি তুমি কি…
আমার আত্মায় কোন মিথ্যার বেসাতী নেই
আমি পাপী না !
- আমি জানি !
- সারাক্ষণ কত কতা কই
শুনো কিছু ।আমার পৃথিবী
বুকে কান পাতো
-আমি ত বুকে শব্দের জন্য কান পাতি না …মুখ রাখি উষ্ণতার খোঁজে ..
কিন্তু সে আমার জন্য নয় !
আমি কেবল স্বপ্ন দেখি
হাহাহা স্বাপ্নিক !
- না গো দেবী
আমার পৃথিবী আজ তোমার লাগিই উষ্ণ
কোথাও শিথিলতা নাই তুমি সর্বত্র
- মরেছ সাঁই .
-আনন্দের মরণ! দেখো বুকের অতলে কেমন উল্লাস
-দেখলাম…খুব… উষ্ণ
শুধু উষ্ণ ?
আর কিছু পাওনি
-আর কি !
-সুরের গন্ধ খুঁজে খুঁজে আমি এগুলাম
সন্ধ্যার কাছে হাত পেতে নিলাম জীবনের শক্তি
-কিন্তু অনাবাদী জমিতে কিসের আবাদ !!
-এইতো কৃষকের দাবী
আমায় এক টুকরো জমি দাও
এঁটেল
বেলে
পলি
খুঁটে খুঁটে চাষ করি শাণিত লাঙ্গলে
অতল ফলায় ছিঁড়ে দিই আগাছা ঢাকা মাটি
- কিন্তু কিছু মরা হার গোড় ছাড়া আর কি উঠে আসবে ওতে বল !
-হোক মরা হাড়
জন্ম জন্মান্তরের চেনা গন্ধ টুকু মরে কি
- জানি না !
- সব বোধ মরে গেছে
-অন্ধকার ছিঁড়ে এবার উদয় হোক রণ প্রভা
আমি তোমার জাগাবো দেবী
-মরে যেতে চাও সাঁই
না ,কেবল জাগাবো সকল সত্ত্বা
-হে দেবী
ফিরাইও না
আমি বাঁচতে চাই
মরে বাঁচতে চাই
তোমার বুকের গলিত সুরায় মেটাতে চাই
আজন্ম তৃষ্ণা!!
-অসুখের তৃষ্ণা হচ্ছে সুখ
- দেবেনা?
না করোনা দেবী
কি যে বল সাঁই!
- কই তুমি ! আর কই আমি!!
-তোমার একটুকুন হাঁ আমার সহস্র স্পন্দন
-বৈষম্য খুঁজোনা দেবী
আমি তোমার পূজারী
আমার হৃদয়ে যে স্রোত বাসি হয়ে গেছে …যে দাবী …তোমার কাছে …
-জানো কি,কোথায় এর সমাপ্তি?
-সমাপ্তি চাও কেন?
পথই পথ দেখায় জানোনা?
- ফের স্বপ্ন !
যাকে সবচেয়ে ভয় না প্রত্যয়
-প্রত্যয়ে ভয় নাই দেবী
-ভয় প্রেমে !
-চোখ বুঁজে রাখো হাত বুকের মাঝে
– তোমাকে পাই কিন্তু এত স্রোত
এতো উন্মত্ততা!
-ও টুকু জয়ের সাধ্য করে নেবো
স্রোতের মাঝে হারাবো ক্ষতি কি?
-তবুত থাকবো নদীর বুকে
অতলে তলাবো
অনলে জ্বলবো, এইতো সুখ!!
যা তোমার সুখ
তা কি আমার সইবে?
-তোমাকেই করবো সুখের রানী
মিথ্যের বেড়াজাল পুড়িয়ে
সত্যের হাসি কান্নায় ভেজাবো বুক
আমি তোমার চৌচির জমি বইয়ে দেব
করতলে নাও আগলে
- শুধুই শূন্যতা ! দেখনি তুমি
-আগলে নাও প্রেমের সমস্ত শূন্যতায়
শুন্যতা থাকবে না
আমি থাকতে দেবোনা দেবী…
- বেচে থাকবার …… মোহ অ মমতার
- এইযে শৃঙ্খল
-মোহ কেন বলছো?
-আমাদের প্রাপ্তি টা কই বলতে পার
-অধিকার
এইযে সম্মান
শ্রদ্ধা
ভালোবাসা
একদিন আসবে সমষ্টিগত জয়
-প্রদীপ জেলে রাখছ তবু
-এটাইতো বেচে থাকা দেবী
-কি জানি !
-লুকাও কেন?
– আমি ত ভুলেই গেছি বেচে থাকবার সংজ্ঞা
- আমি তোমায় সব ফিরিয়ে দেব
তুমি ফের জাগবে! ফাল্গুন
- অস্তিত্ব হীনে কি দেবে … কি বা ফেরাবে
হাহাহা হাসালে
-অস্তিত্বে তাকাইনি দেবী আত্মাই যথেষ্ট
-আমি জন্মান্তরের ঘোর বর্ষা বুকে নিয়ে আছি
-তবেতো তুমি অপার
-তোমার চখে…
-এতে কি তুমি তৃপ্ত হবেনা ভাবছো?
আমার চোখ কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়?
আমি তোমার দমের উদ্দাম হতে নই
দমের প্রশান্তি হতে চাই কারণ একটুকুন প্রশান্তি
তোমাকে আমার ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেবে।
আমাকে কাঁদাতে পারো , কিন্তু কাঁদানোর জন্য নিজে কাঁদিওনা
আমার একটা দাবী মানবা দেবী..
- বলো
- আগামী পূর্ণিমায় এক বার সেজো
- হাহাহা
- হাসছ যে
- সাঁই তুমি পাগল
- জানি
- তুমিই সাজিয়ে দিও , নিজের মত সাজিয়ে নিও
- তোমায় ছুঁতে গেলেই কামিনী ফুলের পাপড়ি ঝরে
বাগানের বুক সয়লাব হয় থোকা থোকা নিষ্পাপ ভুলে
-ভুল?
হ্যাঁ দেবী, ভুল!
জানোনা রোজ রাতে তোমাকে সাজাতে আয়োজন করি পূজার
রোজ রাতেই লণ্ডভণ্ড হই সজারু কাঁটার আঘাতে
- সে কী?
- হ্যাঁ দেবী, তোমায় জাগাবার জন্য, স্পন্দিত ধ্বনির জন্য
আমি সে অর্চনায় নিমগ্ন হই
হৃদয়ের প্রমত্ত জোয়ারে ভাসিয়ে দিই সমস্ত শঙ্কা!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন